

গত ২১ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলকে কাঁপিয়ে দেয় মাঝারি মাত্রার এক ভূমিকম্প। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০:৩৮ মিনিটে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৫.৫ থেকে ৫.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে তুলনামূলকভাবে কাছে, নরসিংদীর মাধবদির কাছে ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। এটি গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভূমিকম্পের ফলে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও প্রায় ৬৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে আতঙ্কিত হয়ে বহুতল ভবন থেকে নামতে গিয়ে অথবা ভবন ও দেয়াল ধসে। পুরান ঢাকার কসাইটুলি এলাকায় দেয়াল ও ছাদ ধসে তিনজন এবং রেলিং পড়ে পথচারীসহ আরও কয়েকজনের মৃত্যু হয়। গাজীপুরে একটি চারতলা ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে এবং নারায়গঞ্জ ও গাজীপুরের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে আহত হন।
ভূমিকম্পের পরে অন্তত তিনটি আফটারশক অনুভূত হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এই ঘটনার পর সরকার জরুরি চিকিৎসা দল মোতায়েন করেছে এবং হাসপাতালগুলিকে নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ এবং অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ভবনে ঠাসা ঢাকার জন্য এটি একটি বড় সতর্কবার্তা। এই ঘটনা দেশের ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও জরুরি অবকাঠামো নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।






















