

গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন ‘বর্ষা বিপ্লবে’র পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশটির রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সংস্কার প্যাকেজটি আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এক গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদন লাভের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই গণভোটের রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করবে।
জুলাই চার্টার নামে পরিচিত এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদার করা, ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা এবং দেশের রাজনীতিতে কয়েক দশকের ধরে চলে আসা গোষ্ঠীগত আধিপত্যের অবসান ঘটানো। এই প্যাকেজটিতে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলিতে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation) পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব রয়েছে, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করবে।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, এই সংস্কারগুলি দেশের ভঙ্গুর রাজনৈতিক ঐক্যকে মজবুত করে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় সহায়তা করবে। তবে, গণভোটের সময়, সুযোগ ও বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো মতবিরোধ রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই গণভোট যদি শক্তিশালী জনসমর্থন পায়, তবে এটি একটি নতুন বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দিতে পারে, যেখানে বাংলাদেশ অন্য দেশের উপর নির্ভরতা কমিয়ে একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।






















