

কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগমনে নাটকীয় পতন ঘটেছে। স্টাডি পারমিট অনুমোদনে নতুন করে কঠোর নিয়ম এবং সংখ্যাগত সীমা (Cap) আরোপের ফলে এই পতন হয়েছে, যা কানাডার শিক্ষাব্যবস্থাকে এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
আবাসন এবং অন্যান্য নাগরিক পরিষেবার উপর চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার যে নীতি ঘোষণা করেছিলেন, তারই ফলস্বরূপ এই পরিবর্তন এসেছে। নতুন নিয়মের কারণে ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা অনুমোদনের হার প্রায় ৩৫% কমে এসেছে। ২০২৪ সালে মাত্র ৩ লক্ষ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির অনুমতি পাবে।
সর্বশেষ নীতি অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এখন থেকে প্রাদেশিক প্রত্যয়ন পত্র (Provincial Attestation Letter - PAL) থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও, একজন একক শিক্ষার্থীর জন্য জীবনযাত্রার খরচ বাবদ যে ন্যূনতম আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ করতে হতো, তার পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে (টিউশন ফি বাদে প্রায় ২২,৮৯৫ কানাডীয়ান ডলার)। এই পরিবর্তনগুলি শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডায় পড়াশোনা করাকে আরও ব্যয়বহুল ও কঠিন করে তুলেছে।
এই নাটকীয় হ্রাসের ফলে কানাডার উচ্চশিক্ষা খাত, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আসা বিলিয়ন ডলারের টিউশন ফির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, তা এখন বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় তাদের বাজেট ও কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সরকার যদিও বলছে, এই কঠোরতা অসাধু কলেজগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করবে এবং শিক্ষার্থীদের উন্নত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করবে, কিন্তু শিক্ষার্থীরা মনে করছেন এই নীতিগত পরিবর্তন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। কানাডায় পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা তরুণদের জন্য এখন প্রস্তুতি ও আর্থিক পরিকল্পনাকে আরও সুচিন্তিতভাবে করতে হবে।



















