

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের (July Charter) অধীনে যে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তা নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ এক সাক্ষাৎকারে এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে 'প্রশংসনীয়' বলে উল্লেখ করেছেন এবং একে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই গণতান্ত্রিক প্রত্যাবর্তন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে, বিশেষ করে তরুণদের কাছে সুস্পষ্টভাবে পৌঁছাবে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বিশেষ করে ঐকমত্য কমিশন এবং জুলাই সনদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তাঁর মতে, এই সনদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু করা সংস্কার এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর স্পষ্ট অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, কেবল নির্বাচন নয়, নির্বাচনের পরও নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পরও সব রাজনৈতিক দলের ধারাবাহিক ভূমিকার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং জানিয়েছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি বড় নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে সংস্কারের সুযোগ, বিশেষ করে এর ধারাবাহিকতা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে। এই আন্তর্জাতিক সমর্থন সত্ত্বেও, দেশের রাজনীতিতে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং সংস্কারের পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।




















