

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে মনোনয়ন নিয়ে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে। বিশেষ করে বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর অভ্যন্তরে প্রার্থী পরিবর্তন এবং স্থানীয় নেতৃত্বের আধিপত্য নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য এবং নির্বাচনী প্রস্তুতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
জানা যায়, নোয়াখালী-৬ আসনসহ বেশ কয়েকটি আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পরিবর্তনের দাবিতে স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছেন। তাদের অভিযোগ, দলের জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত বা দুর্বল প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো আসনে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধও করেছেন, যা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দ্রুত হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এদিকে, গত ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর জামায়াতে ইসলামী দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার মন্তব্য নিয়েও রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, "প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে।" এই বক্তব্যের পর জামায়াত দ্রুত এক বিবৃতিতে জানায়, তারা নেতার এমন বক্তব্য সমর্থন করে না এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিতর্ক আসন্ন নির্বাচনে দলগুলোর সার্বিক পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।




















