

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক শিল্প (RMG) মেরুদণ্ড হিসেবে থাকলেও, বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক চাহিদা ও অভ্যন্তরীণ নীতি পরিবর্তনের কারণে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) নতুন করপোরেট নির্দেশিকা বাংলাদেশের রপ্তানি কৌশলকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে বাধ্য করছে।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চীনা পোশাকের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে চীন থেকে ব্যবসা সরে এলেও, ইউরোপীয় বাজারে প্রতিযোগিতা তীব্র হওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ইউনিট প্রতি দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে, সম্প্রতি সরকার বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে। এই অধ্যাদেশে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের শর্ত সহজ করাসহ শ্রমিক অধিকার ও সুরক্ষা বাড়ানো হয়েছে। পোশাক খাতের মালিকপক্ষ (বিজিএমইএ) এই সংশোধনী নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, এতে কারখানায় অস্থিরতা ও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
মালিকদের মতে, এই অতিরিক্ত নীতিগত চাপ এমন এক সময় এলো যখন বাংলাদেশ এলডিসি (LDC) গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, যা রপ্তানি খাতকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিতে পারে। তবে, শ্রমিক সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপকে শ্রমিক অধিকারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে পোশাক খাতকে দ্রুত পরিবেশগত মানদণ্ড নিশ্চিত করা, সরবরাহ শৃঙ্খলে স্বচ্ছতা আনা এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ও উচ্চ মূল্যের পণ্য (Value-added products) উৎপাদনে মনোনিবেশ করতে হবে।



















