

কানাডা সরকার অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর ঘোষণার পর, সে দেশে সদ্য আগত বাংলাদেশি অভিবাসী ও শিক্ষার্থীরা আবাসন এবং চাকরির বাজারে তীব্র সংকটের মুখে পড়েছেন। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় এবং কর্মসংস্থানহীনতা, বিশেষ করে নতুনদের জন্য, কানাডার স্বপ্নকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
টরন্টো, ভ্যাঙ্কুভার, এবং মন্ট্রিয়লের মতো বড় শহরগুলিতে আকাশছোঁয়া বাড়ি ভাড়া এবং উচ্চ খাদ্যমূল্যের কারণে বাংলাদেশি পরিবারগুলি হিমশিম খাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী ও নতুন স্থায়ী বাসিন্দা বাড়ি ভাড়া যোগাতে না পেরে মানহীন পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এর সাথে যুক্ত হয়েছে চাকরির বাজারে মন্দা। কানাডার বাজারে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই করছে, যার ফলে নতুনদের চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, যেসকল বাংলাদেশি উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি নিয়ে কানাডায় এসেছেন, তাদের কাঙ্ক্ষিত ক্ষেত্রে কাজ পেতে দীর্ঘ সময় লাগছে, যা মানসিক চাপ ও হতাশা বাড়াচ্ছে।
তবে, এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কানাডার বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠনগুলো এগিয়ে এসেছে। বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নতুনদের আবাসন ও চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট এবং সেমিনার আয়োজন করছে। ম্যানিটোবায় 'বাংলাদেশ সেন্টার' স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানাডা এখন ‘গুণমানের দিকে ঝুঁকছে, ভিড় কমাচ্ছে’। তাই বাংলাদেশি অভিবাসীদের এখন কানাডায় সফল হতে হলে তাদের ভাষাগত দক্ষতা এবং চাহিদাযুক্ত খাতে বিশেষায়িত দক্ষতার উপর আরও জোর দিতে হবে।



















